ফক্স নিউজের কল্পবাহিনী গাজাখোরী গল্পকেও হার মানিয়েছে!
মার্কিন প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উদ্ভট অবাস্তব ও হাস্যকর প্রচারণায় নেমেছে। বাংলাদেশকে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রই নয় এদেশের মুসলমানদেরও উগ্র জঙ্গিবাদী হিন্দু বিদ্বেষী ও নির্বিচারে হিন্দু নিধনযজ্ঞে উন্মত্ত জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ তথা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সহিংসতাকে উস্কে দেয়ার কুমতলবেই কে এ ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়। ভারতে হাজার হাজার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে উগ্রবাদী হিন্দুরা লাখ লাখ মুসলমানকে নৃশংসভাবে হত্যা, পুড়িয়ে মারা, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া, সহায়সম্পদ লুণ্ঠন করার মত ঘটনা বেলুম চেপে গিয়ে উল্টো বাংলাদেশী মুসলমানদের ওপর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে পশ্চিমবাংলা তথা ভারতে হিন্দু নিধনের কল্পবাহিনী রচনা করে প্রচার করা হচ্ছে। প্রচারণার ধরন দেখে মনে হয় ভারত একটি অসহায় রাষ্ট্র বলে এসবের কোন প্রতিকার করতে পারছে না বা জেনে বুঝে এসব উপেক্ষা করছে। ভারতীয় প্রচার মাধ্যমগুলোকেও এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়ার জন্য দায়ী করা হয়। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ আর কাকে বলে? নিউইয়র্ক থেকে এনা জানায়, আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার নয়া মাত্রা পেয়েছে। বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে মনে হয় কোন কোন মহল এ ধরনের প্রচার কাজে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেমেছে। প্রচারের ধরন দেখে মনে হয় তারা বাংলাদেশকে মৌলবাদী দেশ হিসেবে বিশেষভাবে চিহ্নিত করতে চায়, ফক্স নিউজ এর মতো রক্ষণশীলদের প্রচার মাধ্যমেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে। গত ৯ সেপ্টম্বর ‘ফক্স নিউজ ডট কম' অন লাইনে এমন একটি বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার দেখা যায়। ফিলিস বেসলার নামে এক লেখিকা লিখেছেন, ‘‘ভারতে নাকি মুসলমানরা হিন্দুদের নির্যাতন করছে, আর এই নির্যাতনের খরব নাকি পশ্চিমা মূলধারার সংবাদ মাধ্যমে কখনই দেখা যায় না।’’ এই সব প্রচারের ধরন দেখে মনে হয় সাম্প্রতিককালে রাজস্থানে মুসলিমদের বাড়িঘর পোড়ানোও মিথ্যা কথা। অথচ এইসব প্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মিশনসমূহের কোন উচ্চবাচ্য নেই। বাংলাদেশের মিশনসমূহ এই সব প্রচারের কোন প্রকার বিরোধিতা তো দূরে থাক কোন প্রতিবাদ পর্যন্ত পাঠায়নি। ফিলিস বেসলার ফক্স নিউজ ডট কম অনলাইনে ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারে ভারতে হিন্দুদের মুসলমানরা নির্যাতন করছে বলে যে দাবি করেছে সেই লেখার শুরুটা এরকম, ‘‘তারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করছে এবং সহিংসতার সাথে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করছে। আর আদিবাসীদের বাড়িঘর তারা হয়তো ধ্বংস করছে বা দখল করছে। তারা যুবক, বৃদ্ধ এবং বিশেষ করে কিশোরী ও নারীদের আক্রমণ করছে। তাদেরকে তারা কিডন্যাপ করে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে, অথবা তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বেশ্যালয়ে। স্থানীয়রা তাদের কারণে সন্ত্রন্ত থাকে। পুলিশ কদাচিত তাদের সাহায্যার্থে আসে। রাজনৈতিক সচেতন মিডিয়া কিংবা সরকারও তাদের সাহায্য করে না। উভয়েই অপরাধীদের কারণে এবং সন্ত্রাসীদের কারণে ভীত থাকে। আর তারা আসছে এই ইমিগ্র্যান্ট ওয়েবের সাথে। আমি ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট সম্পর্কে বলছি না, আমি বর্ণনা করছি মুসলমানদের সম্পর্কে যারা ভারতের পশ্চিমবাংলায় অনুপ্রবেশ করছে। এই সব বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্টরা অপরাধী তৎপরতার বাহন, যারা বিশ্বের জিহাদী তৎপরতাকেও অর্থ যোগান দিচ্ছে। (তারা অস্ত্র, ড্রাগ ও যৌন দাসীর মত তৎপরতা চালাচ্ছে)।’’ এই ধরনের প্রচার সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এই সব প্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কোন পন্থা স্থায়ী মিশন কিংবা ওয়াশিংটন মিশন গ্রহণ করেনি। ফিলিস বেসলারের লিখিত এই আর্টিকেলের ফুটনোটে বলা হয়েছে, ‘নাথান বস্নুম' নামে আরেকজন এই লেখা তৈরিতে তাকে সাহায্য করেছেন। বেসলার লিখেছেন, ‘‘আপনি পশ্চিমা প্রধান প্রধান মিডিয়াতে এ নিয়ে কোন লেখা পাবেন না। অথবা ভারতীয় মিডিয়াতেও দেখবেন না। ভারতীয় মিডিয়া এই ট্রাজেডীর দিকে তাদের চোখ বন্ধ করে রেখেছে কারণ তারা ‘রাজনৈতিকভাবে ভুল' কিংবা ‘ইসলাম বিদ্বেষী' বলে চিহ্নিত হতে পারেন। তারা প্রতিহিংসারও ভয় করে। যখন ইসলামী উগ্রবাদীরা প্রসিদ্ধ সংবাদপত্রের অফিস তছনছ করেছে। যেমন কলকাতায় স্টেটসম্যান অফিস। তার কারণ ছিল তারা ইসলামী উগ্রবাদী সম্পর্কে একটি আর্টিকেল পুনরায় ছেপেছে। ভারতীয় প্রেস এই সম্পর্কে নীরব। এই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মুসলিম সেন্টিমেন্টকে আঘাত করার জন্য গ্রেফতার হয়েছিল। এবং উগ্রবাদী দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।’’ কিন্তু বেসলার এই বিষয়ের অবতারণা করতে গিয়ে উল্লেখ করেননি যে, এ ঘটনাটি ভারতের মূল ভূখন্ডে ভারতীয়দের দ্বারা সংঘটিত, এখানে কোন বাংলাদেশী জড়িত ছিল না। যেমন গুজরাটের দাঙ্গায় আহমেদাবাদের দাঙ্গায় বা রাজস্থানের মুসলিম পরিবার জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় বাংলাদেশীদের হাত নেই। কলকাতায় সংবাদপত্র অফিসে হামলায়ও বাংলাদেশীদের হাত নেই। প্রচারণার এমন ধারা যে, তারা যেনতেন প্রকারে ভারতের যে কোন দাঙ্গার জন্য বাংলাদেশীদের ওপর দোষ চাপাতে একপায়ে খাড়া। ফিলিস বেসলার আরও লিখেনে, ‘‘সৌজন্যবশত ভারতে মুসলিম সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মাত্র কিছু সন্ত্রাসী হিন্দু অবস্থান নিয়েছে। তাদের একজন তপন ঘোষ। তিনি সম্প্রতি ভারতে হিন্দু বিরোধী সহিংসতার কথা বলতে নিউইয়র্ক নগরীতে এসেছেন।’’ ২০০৮ সালে ঘোষ ‘হিন্দু সংহতি' নামে এক সংগঠন করে পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করছেন।’’ ফক্স নিউজের সাথে সাক্ষাৎকারে ঘোষ বলেন, ‘‘ভারতে মুসলমানদের দ্বারা হিন্দু নির্যাতনের কাহিনী নতুন নয়। ৮০০ বছর ধরে লাখ লাখ হিন্দুদের মুসলমানরা ধর্মবিদ্বেষী বলে হত্যা করেছে বা তরবারি দিয়ে ধর্মান্তরিত করেছে। ১৯৪৬ সালে যখন ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টি হয় তখন কলকাতায় মুসলমানরা কয়েক হাজার হিন্দু হত্যা করেছে। তাছাড়া ভারত-পাকিস্তান বিভক্তকারী বিতর্কিত লাইনে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে হিন্দু বিরোধী ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৭১ সালে যখন পূর্বপাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ হয় তখন বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য তা আরও মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনে।’’ কিন্তু ঘোষ সেখানে ধর্মান্তরিত হওয়ার পেছনে ব্রাহ্মণদের সহিংসতা, জাতের বৈষম্য সৃষ্টি করে এক শ্রেণীর হিন্দুদের ওপর জমিদারদের অত্যাচার, আর মুসলিম সুফীদের সমাজ সংস্কার, এর বিষয়ে বলেননি। দাঙ্গা করে যেভাবে মুসিলমদের হত্যা করা হয়েছে, বাবরী মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে তার উল্লেখ নেই। বলা হচ্ছে পাকিস্তান আমলের চাইতে বাংলাদেশে হিন্দুরা অনেক বেশী নিগৃহীত। আর এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে যখন বাংলাদেশে হিন্দু বান্ধব বলে কথিত আওয়ামী সরকার ক্ষমতায়। ঘোষ যেভাবে লেখক বেসলারের কাছে বর্ণনা করেন, ‘‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে যেভাবে চিত্রিত করা হয় তা হলো হিন্দু বিরোধী ও মুক্তিকামী মুসলিম বিরোধী ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের ফসল।’’ হিন্দুদের সনাক্ত করা হয় এইভাবে যে, তারা পূর্বপাকিস্তানে ঢালাও ইসলামীকরণের বিরুদ্ধবাদী বলে চিহ্নিত। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সরকার ও বাংলাদেশ তাদের দালালরা এক সহিংস অপারেশন চালায়। তার কোডনেম ছিল ‘‘অপারেশন সার্চলাইট।’’ তার উদ্দেশ্য ছিল সকল মুক্তিকামী তৎপরতা শেষ করে দেয়া। বাংলাদেশ সরকার এই অপারেশনে মোট মৃতের সংখ্যা নির্ধারণ করে তিন লাখ। যদিও ‘৩০ লাখ' হিন্দুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারা মৃত বলে ধরে নেয়া হয়।’’ ভারত ও ওয়াশিংটনের মার্কিন কর্মকর্তারা এই হীন কাজকে ‘জেনোসাইড' (গণহত্যা) বলে বর্ণনা করে। [আসলে শেষোক্ত লাইন ছাড়া এই বর্ণনায় একটি শব্দও সত্য নয়, বাংলাদেশ সরকারের হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাংলাদেশী নিহত হয়েছিল। ঘোষ বাবু তার কল্পনার তত্ত্ব মুসলিমকর্তৃক ভারতে হিন্দু নিধনের কথা প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই কথা প্রচার করছেন।] ঘোষের মিথ্যার বেসাতী চরমরূপে প্রকাশিত। এই সব কথার কোন ভিত্তি না থাকলেও অবলীলায় ফক্স নিউজ তা প্রকাশ করেছে। ঘোষের মতে, ‘‘সাম্প্রতিককালে হিন্দুদের উৎসবের সময় মুসলিম দাঙ্গা বেড়ে গেছে। মন্দিরের ধ্বংস সাধন, মূর্তির অঙ্গহানি এবং উস্কানিমূলকভাবে ব্যাপক গো-নিধন করা হয়। সবচেয়ে খারাপ, লাখ লাখ হিন্দু কিশোরীকে গুম করা হয়েছে। তাদেরকে যৌন দাসীতে পরিণত করা হয়েছে। অথবা মুসলিমদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্ত্রী রূপে গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরে, ঘোষের সংগঠন প্রায় ১০০ বালিকাকে উদ্ধার করেছে এবং তার সংগঠনের একটি প্রধান লক্ষ্য এসব নারীদের সমাজে পুনর্বাসন করা।’’ [এই সব বর্ণনা শুনলে হতবাক হতে হয়। মিশনের প্রচারমুখী কর্মকর্তারা এসব জানেন কি না বলা মুসকিল।] ঘোষ চান ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে অর্ধেক ইমিগ্রেশন বন্ধ করবে এবং অবৈধ মুসলিমদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবে। তারা মাদরাসা ও বহু-যৌনতা বন্ধ করবে। যাতে শিক্ষায় ও আইনের ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা হয়। তাছাড়া তারা মুসলিম মাফিয়া, কিংপিন ও সন্ত্রাসীদের বিচার করবে। তিনি সংবাদপত্রকে হিন্দু বিরোধী সহিংস ঘটনার রিপোর্ট করতে এবং ধর্মবিদ্বেষ নিয়ে কথা বলার জন্য বলেন। ঘোষ আশাবাদী নয়। ‘‘সমগ্র বাংলায় পল্লী এলাকায় সৌদি অর্থে মাদরাসা স্থাপন, মুসলিমদের মধ্যে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে এবং অনেক গ্রামে ইসলামী আদালতের মাধ্যমে শরীয়া আইন ব্যাপকভাবে প্রচলিত।’’ এক হাস্যকর বর্ণনা ঘোষ দিয়েছেন ও ফক্স নিউজ প্রকাশ করেছে। তা হলো, ‘‘তার সবচেয় বড় ভয় (তিনি বেসলারকে বলেছেন) একদিন আল্লাহু আকবর ধ্বনি সমস্ত এলাকায় ধ্বনিত হবে। এবং মুসলিম উগ্রবাদীরা দাবি করবে হয় হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হও, নয় পশ্চিমবাংলা ছাড় অথবা মর।’’ ঘোষ আমেরিকায় এসেছেন শুধুমাত্র পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশীদের যারা আমেরিকায় আছে তাদের আবেদন জানাতে নয় বরং আমেরিকাবাসীদের তাকে সমর্থনের জন্য আবেদন জানাতে। তিনি বিষয়টাকে নির্যাতনকারী মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে দেখেন না বরং ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ ও বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ হিসেবে দেখেন। ঘোষ বলেন, ‘‘সকল আমেরিকানদের বুঝতে হবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদ বন্ধ ব্যতিরেকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধে জেতা যাবে না। আর তা ডেট্রয়েট হোক বা দিল্লীতে হোক বা বাংলার উপশহরে হোক। আর সেজন্য একে অপরকে সহায়তা করতে হবে। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্ব নিম্ন পর্যায়ে সহযোগিতা দরকার। আমরা আশা করছি আমেরিকা ও পশ্চিমারা বাংলার হিন্দুদের সমর্থনে এগিয়ে আসবে। তারা অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে যাতে সেখানে সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়। পুরো আর্টিকেল পড়লে মনে হয়, তপন ঘোষ ভারতে মুসলিম নিধনের জন্য আমেরিকা থেকে অর্থ উত্তোলনের মিশনে রয়েছে। ভারতে অহরহ মুসলিম নিধন হচ্ছে। লেখক অরুন্দতী রায়সহ আরো অনেকে তার সোচ্চার প্রতিবাদ করছে। আর তপন ঘোষ এক নতুন তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন, আর দোষ চাপাচ্ছেন বাংলাদেশের ওপর। তার এই উস্কানিমূলক তৎপরতা সম্পর্কে বাংলাদেশ মিশনসমূহ একযোগে কাজ করা উচিত। বিশেষ করে ওয়াশিংটন মিশন এ বিষয়ে তৎপর হবে। আর জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন যা অনেক আগে থেকেই নিজেদের কাজকে জাতিসংঘের বাইরেও সম্প্রসারিত করেছেন তাদের উচিত বিয়ষটি নিয়ে ফিলিস বেসলারের সাথে ও ফক্স নিউজের সাথে কথা বলা। তপন ঘোষ বাংলাদেশকে এসকেপ গোট করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এর জন্য বাংলাদেশের উচিত প্রচার সেল গড়ে তোলা।
Link: http://www.foxnews.com/opinion/2010/09/09/phyllis-chesler-hindu-human-rights-mus...lim-islamic-terrorism/#content