Wednesday, December 15, 2010

১৬ ডিসেম্বর ও জাতীয় পতাকা!

আজকে যখন মাননীয় দেশনেত্রী বিজয় দিবস উপলক্ষে আর্মি-জনগণের স্যালুট আর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে, পরিবার পরিজন নিয়ে আরাম করে মুরগীর মাখন-নরম হাড় চিবুবেন তখন হয়তো তাঁর বাড়ির আসেপাশেই কোথাও কোনো মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দু-মুঠো খাবারের আশায় ভিক্ষে করবে মানুষের দোরে দোরে!
দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীরা যখন ঘুষ আর মেরে দেয়া জনগণের টাকা আরাম করে গুনবেন তখন হয়তো কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান টাকার অভাবে পড়ালেখা ছেড়ে আজই রিকশা যাত্রীদের পৌঁছে দেবে সশস্ত্র মেলায়!

দেশজুড়ে ও দেশকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যা ঘটেছিল, যা ঘটবে এবং ঘটে যাওয়া সমস্ত অন্যায়ের প্রতিবাদে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আমার এই গ্রাফিক ইলাস্ট্রেশন।
(জাতীয় পতাকার অবমাননা করার কোনো প্রচেষ্টা এখানে করা হয়নি)


* বড় করে দেখার জন্য ছবিতে ক্লিক করুন।
--
মুহাম্মাদ তারিক সাইফুল্লাহ

Tuesday, November 23, 2010

অভ্রের সাহায্যে অ্যাডোবিতে নির্ভেজালভাবে বাংলা লেখা!

 প্রথমে Sutonny MJ ফন্ট টা ইন্সটল করে নিতে হবে। এরপর অভ্রের টুলস্ থেকে Output as ANSI এ ক্লিক করে Use ANSI anyway তে ক্লিক করে অ্যাডোবিতে Sutonny MJ ফন্ট সিলেক্ট করে নির্ভেজালভাবে বাংলা লেখা শুরু করা যাবে। যুক্তাক্ষর নিয়ে কোনো ঘাপলায় পড়া লাগবে না।

অন্যান্য সময় লেখার জন্য আবার টুলস্ থেকে Output as Unicode এ ক্লিক করে নিতে হবে।  যারা আগের ইউনিবিজয় লে-আউটে অভ্যস্ত ছিলেন তারা এই লিঙ্ক থেকে ইউনিবিজয় লে-আউট ডাউনলোড করে অভ্রের কি-বোর্ড লে-আউট ফোল্ডারে (C:\ProgramData\Avro Keyboard\Keyboard Layouts) পেস্ট করলেই অভ্র টুলবারে ইউনিবিজয় কি-বোর্ড ফেরত পাবেন।






Saturday, October 23, 2010

পেন স্কেচ: উলভেরিন

অফিসের কাজের এক ফাকে মাথা ফাকা করার জন্য জেলপেন দিয়ে রাফভাবে উলভেরিনকে এঁকে ফেললাম। ১৮ মিনিটে করা। যারা ছবি আঁকাআঁকির সাথে যুক্ত বা ধারণা রাখেন তারা এই হাত চালু রাখার রাফ ড্রয়িং সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত।



Thursday, October 21, 2010

পুরোন কাজ ১: আইফোন গেম ক্যারেক্টার মোঙ্গো

এই ক্যারেক্টারটার নাম মোঙ্গো, বাচ্চা পোলাপানদের ভয় দেখিয়ে মাস শেষে স্যালারি পায় সে! এক্সট্রা করে বিভিন্ন রকমের ভয় দেখালে জোটে পারফর্মেন্স বোনাস। :)
এডোব ইলাস্ট্রেটর সিএস ৪ দিয়ে করা। স্কেচসহ সব মিলিয়ে সময় লেগেছে ১২ ঘন্টার মতো।

Saturday, September 18, 2010

ফক্স নিউজে বাংলাদেশ বিরোধী জঘন্য প্রচারণা!

ফক্স নিউজের কল্পবাহিনী গাজাখোরী গল্পকেও হার মানিয়েছে!
মার্কিন প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উদ্ভট অবাস্তব ও হাস্যকর প্রচারণায় নেমেছে। বাংলাদেশকে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রই নয় এদেশের মুসলমানদেরও উগ্র জঙ্গিবাদী হিন্দু বিদ্বেষী ও নির্বিচারে হিন্দু নিধনযজ্ঞে উন্মত্ত জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ তথা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সহিংসতাকে উস্কে দেয়ার কুমতলবেই কে এ ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়। ভারতে হাজার হাজার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে উগ্রবাদী হিন্দুরা লাখ লাখ মুসলমানকে নৃশংসভাবে হত্যা, পুড়িয়ে মারা, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া, সহায়সম্পদ লুণ্ঠন করার মত ঘটনা বেলুম চেপে গিয়ে উল্টো বাংলাদেশী মুসলমানদের ওপর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে পশ্চিমবাংলা তথা ভারতে হিন্দু নিধনের কল্পবাহিনী রচনা করে প্রচার করা হচ্ছে। প্রচারণার ধরন দেখে মনে হয় ভারত একটি অসহায় রাষ্ট্র বলে এসবের কোন প্রতিকার করতে পারছে না বা জেনে বুঝে এসব উপেক্ষা করছে। ভারতীয় প্রচার মাধ্যমগুলোকেও এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়ার জন্য দায়ী করা হয়। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ আর কাকে বলে? নিউইয়র্ক থেকে এনা জানায়, আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার নয়া মাত্রা পেয়েছে। বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে মনে হয় কোন কোন মহল এ ধরনের প্রচার কাজে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেমেছে। প্রচারের ধরন দেখে মনে হয় তারা বাংলাদেশকে মৌলবাদী দেশ হিসেবে বিশেষভাবে চিহ্নিত করতে চায়, ফক্স নিউজ এর মতো রক্ষণশীলদের প্রচার মাধ্যমেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে। গত ৯ সেপ্টম্বর ‘ফক্স নিউজ ডট কম' অন লাইনে এমন একটি বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার দেখা যায়। ফিলিস বেসলার নামে এক লেখিকা লিখেছেন, ‘‘ভারতে নাকি মুসলমানরা হিন্দুদের নির্যাতন করছে, আর এই নির্যাতনের খরব নাকি পশ্চিমা মূলধারার সংবাদ মাধ্যমে কখনই দেখা যায় না।’’ এই সব প্রচারের ধরন দেখে মনে হয় সাম্প্রতিককালে রাজস্থানে মুসলিমদের বাড়িঘর পোড়ানোও মিথ্যা কথা। অথচ এইসব প্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মিশনসমূহের কোন উচ্চবাচ্য নেই। বাংলাদেশের মিশনসমূহ এই সব প্রচারের কোন প্রকার বিরোধিতা তো দূরে থাক কোন প্রতিবাদ পর্যন্ত পাঠায়নি। ফিলিস বেসলার ফক্স নিউজ ডট কম অনলাইনে ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারে ভারতে হিন্দুদের মুসলমানরা নির্যাতন করছে বলে যে দাবি করেছে সেই লেখার শুরুটা এরকম, ‘‘তারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করছে এবং সহিংসতার সাথে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করছে। আর আদিবাসীদের বাড়িঘর তারা হয়তো ধ্বংস করছে বা দখল করছে। তারা যুবক, বৃদ্ধ এবং বিশেষ করে কিশোরী ও নারীদের আক্রমণ করছে। তাদেরকে তারা কিডন্যাপ করে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে, অথবা তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বেশ্যালয়ে। স্থানীয়রা তাদের কারণে সন্ত্রন্ত থাকে। পুলিশ কদাচিত তাদের সাহায্যার্থে আসে। রাজনৈতিক সচেতন মিডিয়া কিংবা সরকারও তাদের সাহায্য করে না। উভয়েই অপরাধীদের কারণে এবং সন্ত্রাসীদের কারণে ভীত থাকে। আর তারা আসছে এই ইমিগ্র্যান্ট ওয়েবের সাথে। আমি ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট সম্পর্কে বলছি না, আমি বর্ণনা করছি মুসলমানদের সম্পর্কে যারা ভারতের পশ্চিমবাংলায় অনুপ্রবেশ করছে। এই সব বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্টরা অপরাধী তৎপরতার বাহন, যারা বিশ্বের জিহাদী তৎপরতাকেও অর্থ যোগান দিচ্ছে। (তারা অস্ত্র, ড্রাগ ও যৌন দাসীর মত তৎপরতা চালাচ্ছে)।’’ এই ধরনের প্রচার সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এই সব প্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কোন পন্থা স্থায়ী মিশন কিংবা ওয়াশিংটন মিশন গ্রহণ করেনি। ফিলিস বেসলারের লিখিত এই আর্টিকেলের ফুটনোটে বলা হয়েছে, ‘নাথান বস্নুম' নামে আরেকজন এই লেখা তৈরিতে তাকে সাহায্য করেছেন। বেসলার লিখেছেন, ‘‘আপনি পশ্চিমা প্রধান প্রধান মিডিয়াতে এ নিয়ে কোন লেখা পাবেন না। অথবা ভারতীয় মিডিয়াতেও দেখবেন না। ভারতীয় মিডিয়া এই ট্রাজেডীর দিকে তাদের চোখ বন্ধ করে রেখেছে কারণ তারা ‘রাজনৈতিকভাবে ভুল' কিংবা ‘ইসলাম বিদ্বেষী' বলে চিহ্নিত হতে পারেন। তারা প্রতিহিংসারও ভয় করে। যখন ইসলামী উগ্রবাদীরা প্রসিদ্ধ সংবাদপত্রের অফিস তছনছ করেছে। যেমন কলকাতায় স্টেটসম্যান অফিস। তার কারণ ছিল তারা ইসলামী উগ্রবাদী সম্পর্কে একটি আর্টিকেল পুনরায় ছেপেছে। ভারতীয় প্রেস এই সম্পর্কে নীরব। এই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মুসলিম সেন্টিমেন্টকে আঘাত করার জন্য গ্রেফতার হয়েছিল। এবং উগ্রবাদী দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।’’ কিন্তু বেসলার এই বিষয়ের অবতারণা করতে গিয়ে উল্লেখ করেননি যে, এ ঘটনাটি ভারতের মূল ভূখন্ডে ভারতীয়দের দ্বারা সংঘটিত, এখানে কোন বাংলাদেশী জড়িত ছিল না। যেমন গুজরাটের দাঙ্গায় আহমেদাবাদের দাঙ্গায় বা রাজস্থানের মুসলিম পরিবার জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় বাংলাদেশীদের হাত নেই। কলকাতায় সংবাদপত্র অফিসে হামলায়ও বাংলাদেশীদের হাত নেই। প্রচারণার এমন ধারা যে, তারা যেনতেন প্রকারে ভারতের যে কোন দাঙ্গার জন্য বাংলাদেশীদের ওপর দোষ চাপাতে একপায়ে খাড়া। ফিলিস বেসলার আরও লিখেনে, ‘‘সৌজন্যবশত ভারতে মুসলিম সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মাত্র কিছু সন্ত্রাসী হিন্দু অবস্থান নিয়েছে। তাদের একজন তপন ঘোষ। তিনি সম্প্রতি ভারতে হিন্দু বিরোধী সহিংসতার কথা বলতে নিউইয়র্ক নগরীতে এসেছেন।’’ ২০০৮ সালে ঘোষ ‘হিন্দু সংহতি' নামে এক সংগঠন করে পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করছেন।’’ ফক্স নিউজের সাথে সাক্ষাৎকারে ঘোষ বলেন, ‘‘ভারতে মুসলমানদের দ্বারা হিন্দু নির্যাতনের কাহিনী নতুন নয়। ৮০০ বছর ধরে লাখ লাখ হিন্দুদের মুসলমানরা ধর্মবিদ্বেষী বলে হত্যা করেছে বা তরবারি দিয়ে ধর্মান্তরিত করেছে। ১৯৪৬ সালে যখন ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টি হয় তখন কলকাতায় মুসলমানরা কয়েক হাজার হিন্দু হত্যা করেছে। তাছাড়া ভারত-পাকিস্তান বিভক্তকারী বিতর্কিত লাইনে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে হিন্দু বিরোধী ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৭১ সালে যখন পূর্বপাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ হয় তখন বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য তা আরও মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনে।’’ কিন্তু ঘোষ সেখানে ধর্মান্তরিত হওয়ার পেছনে ব্রাহ্মণদের সহিংসতা, জাতের বৈষম্য সৃষ্টি করে এক শ্রেণীর হিন্দুদের ওপর জমিদারদের অত্যাচার, আর মুসলিম সুফীদের সমাজ সংস্কার, এর বিষয়ে বলেননি। দাঙ্গা করে যেভাবে মুসিলমদের হত্যা করা হয়েছে, বাবরী মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে তার উল্লেখ নেই। বলা হচ্ছে পাকিস্তান আমলের চাইতে বাংলাদেশে হিন্দুরা অনেক বেশী নিগৃহীত। আর এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে যখন বাংলাদেশে হিন্দু বান্ধব বলে কথিত আওয়ামী সরকার ক্ষমতায়। ঘোষ যেভাবে লেখক বেসলারের কাছে বর্ণনা করেন, ‘‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে যেভাবে চিত্রিত করা হয় তা হলো হিন্দু বিরোধী ও মুক্তিকামী মুসলিম বিরোধী ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের ফসল।’’ হিন্দুদের সনাক্ত করা হয় এইভাবে যে, তারা পূর্বপাকিস্তানে ঢালাও ইসলামীকরণের বিরুদ্ধবাদী বলে চিহ্নিত। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সরকার ও বাংলাদেশ তাদের দালালরা এক সহিংস অপারেশন চালায়। তার কোডনেম ছিল ‘‘অপারেশন সার্চলাইট।’’ তার উদ্দেশ্য ছিল সকল মুক্তিকামী তৎপরতা শেষ করে দেয়া। বাংলাদেশ সরকার এই অপারেশনে মোট মৃতের সংখ্যা নির্ধারণ করে তিন লাখ। যদিও ‘৩০ লাখ' হিন্দুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারা মৃত বলে ধরে নেয়া হয়।’’ ভারত ও ওয়াশিংটনের মার্কিন কর্মকর্তারা এই হীন কাজকে ‘জেনোসাইড' (গণহত্যা) বলে বর্ণনা করে। [আসলে শেষোক্ত লাইন ছাড়া এই বর্ণনায় একটি শব্দও সত্য নয়, বাংলাদেশ সরকারের হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাংলাদেশী নিহত হয়েছিল। ঘোষ বাবু তার কল্পনার তত্ত্ব মুসলিমকর্তৃক ভারতে হিন্দু নিধনের কথা প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই কথা প্রচার করছেন।] ঘোষের মিথ্যার বেসাতী চরমরূপে প্রকাশিত। এই সব কথার কোন ভিত্তি না থাকলেও অবলীলায় ফক্স নিউজ তা প্রকাশ করেছে। ঘোষের মতে, ‘‘সাম্প্রতিককালে হিন্দুদের উৎসবের সময় মুসলিম দাঙ্গা বেড়ে গেছে। মন্দিরের ধ্বংস সাধন, মূর্তির অঙ্গহানি এবং উস্কানিমূলকভাবে ব্যাপক গো-নিধন করা হয়। সবচেয়ে খারাপ, লাখ লাখ হিন্দু কিশোরীকে গুম করা হয়েছে। তাদেরকে যৌন দাসীতে পরিণত করা হয়েছে। অথবা মুসলিমদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্ত্রী রূপে গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরে, ঘোষের সংগঠন প্রায় ১০০ বালিকাকে উদ্ধার করেছে এবং তার সংগঠনের একটি প্রধান লক্ষ্য এসব নারীদের সমাজে পুনর্বাসন করা।’’ [এই সব বর্ণনা শুনলে হতবাক হতে হয়। মিশনের প্রচারমুখী কর্মকর্তারা এসব জানেন কি না বলা মুসকিল।] ঘোষ চান ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে অর্ধেক ইমিগ্রেশন বন্ধ করবে এবং অবৈধ মুসলিমদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবে। তারা মাদরাসা ও বহু-যৌনতা বন্ধ করবে। যাতে শিক্ষায় ও আইনের ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা হয়। তাছাড়া তারা মুসলিম মাফিয়া, কিংপিন ও সন্ত্রাসীদের বিচার করবে। তিনি সংবাদপত্রকে হিন্দু বিরোধী সহিংস ঘটনার রিপোর্ট করতে এবং ধর্মবিদ্বেষ নিয়ে কথা বলার জন্য বলেন। ঘোষ আশাবাদী নয়। ‘‘সমগ্র বাংলায় পল্লী এলাকায় সৌদি অর্থে মাদরাসা স্থাপন, মুসলিমদের মধ্যে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে এবং অনেক গ্রামে ইসলামী আদালতের মাধ্যমে শরীয়া আইন ব্যাপকভাবে প্রচলিত।’’ এক হাস্যকর বর্ণনা ঘোষ দিয়েছেন ও ফক্স নিউজ প্রকাশ করেছে। তা হলো, ‘‘তার সবচেয় বড় ভয় (তিনি বেসলারকে বলেছেন) একদিন আল্লাহু আকবর ধ্বনি সমস্ত এলাকায় ধ্বনিত হবে। এবং মুসলিম উগ্রবাদীরা দাবি করবে হয় হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হও, নয় পশ্চিমবাংলা ছাড় অথবা মর।’’ ঘোষ আমেরিকায় এসেছেন শুধুমাত্র পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশীদের যারা আমেরিকায় আছে তাদের আবেদন জানাতে নয় বরং আমেরিকাবাসীদের তাকে সমর্থনের জন্য আবেদন জানাতে। তিনি বিষয়টাকে নির্যাতনকারী মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে দেখেন না বরং ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ ও বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ হিসেবে দেখেন। ঘোষ বলেন, ‘‘সকল আমেরিকানদের বুঝতে হবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদ বন্ধ ব্যতিরেকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধে জেতা যাবে না। আর তা ডেট্রয়েট হোক বা দিল্লীতে হোক বা বাংলার উপশহরে হোক। আর সেজন্য একে অপরকে সহায়তা করতে হবে। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্ব নিম্ন পর্যায়ে সহযোগিতা দরকার। আমরা আশা করছি আমেরিকা ও পশ্চিমারা বাংলার হিন্দুদের সমর্থনে এগিয়ে আসবে। তারা অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে যাতে সেখানে সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়। পুরো আর্টিকেল পড়লে মনে হয়, তপন ঘোষ ভারতে মুসলিম নিধনের জন্য আমেরিকা থেকে অর্থ উত্তোলনের মিশনে রয়েছে। ভারতে অহরহ মুসলিম নিধন হচ্ছে। লেখক অরুন্দতী রায়সহ আরো অনেকে তার সোচ্চার প্রতিবাদ করছে। আর তপন ঘোষ এক নতুন তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন, আর দোষ চাপাচ্ছেন বাংলাদেশের ওপর। তার এই উস্কানিমূলক তৎপরতা সম্পর্কে বাংলাদেশ মিশনসমূহ একযোগে কাজ করা উচিত। বিশেষ করে ওয়াশিংটন মিশন এ বিষয়ে তৎপর হবে। আর জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন যা অনেক আগে থেকেই নিজেদের কাজকে জাতিসংঘের বাইরেও সম্প্রসারিত করেছেন তাদের উচিত বিয়ষটি নিয়ে ফিলিস বেসলারের সাথে ও ফক্স নিউজের সাথে কথা বলা। তপন ঘোষ বাংলাদেশকে এসকেপ গোট করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এর জন্য বাংলাদেশের উচিত প্রচার সেল গড়ে তোলা।

Link:  http://www.foxnews.com/opinion/2010/09/09/phyllis-chesler-hindu-human-rights-mus...lim-islamic-terrorism/#content

Monday, September 6, 2010

ঈদার্টুন!

এবার রাজশাহী যাচ্ছি ঈদ করতে। ঢাকার পরিচিত মানুষগুলার সাথে দেখা হবে না বিধায় মনটা একটু খারাপ। আমার পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ পরিচিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই ঈদার্টুন! :)

Monday, August 30, 2010

ব্লু টেকনোজ লোগো!

কিছুদিন আগে এই লোগোটা বানিয়েছি ইলাস্ট্রেটরের সাহায্যে। প্রথমে বেশকিছু পেন্সিল স্কেচ করে নিয়েছিলাম। সময় লেগেছিল সবমিলিয়ে প্রায় ১০ ঘন্টার মতো।

Saturday, August 28, 2010

মি. বেটোভিক

অনেকদিন পর একটা ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টের কাজ পেয়েছি অফিস থেকে। ইউ আই আর টুকিটাকি গ্রাফিকের কাজ করতে করতে বিরক্ত ধরে গিয়েছিল বসের উপর। এইটা ফেসবুকের ‘মাফিয়া’র মতো একটা গেমের ক্যারেক্টারের প্রাথমিক ড্রাফ্ট ড্রয়িং, নাম মি. বেটোভিক। যে কিনা লাইফে ভয়াবহ পোড় খেতে খেতে বিশাল পয়সাওলাতে পরিনত হয়েছে! পেন্সিলে স্কেচ করে তারপর ফটোশপের হালকা টাচ্ দিয়েছি। সময় লেগেছে সব মিলিয়ে ৪ ঘন্টার মতো। 


Monday, August 23, 2010

গ্রাভিটেট: আইফোন গেম

ক্লাশ আর অফিস বাদে আমি কী করি তা নিয়ে অনেকের প্রশ্নবানের ফলাফল এই লেখা! আমি একটু আলসে টাইপের কার্টুনিস্ট কাম আর্টিস্ট, এইটা মেনে নিতে আমার কোনো আপত্তি নাই কিন্তু যারা মনে করেন আমি মাত্রাতিরিক্ত অলস, ক্লাশ আর অফিস ছাড়া বাকি সময়টা নাক ডাকিয়ে ঘুমাই তাদের মুখ বন্ধ করা আর চান্সে নিজের আত্মপ্রচার ;) করার জন্যই এই লেখা! আশা করছি এই পোস্ট যারা আইফোন গেম নিয়ে কাজ শুরু করেছেন বা করবেন তাদের জন্য সহায়ক হবে।
বর্তমানে আমি গ্রাভিটি রিলেটেড একটা আপকামিং আইফোন গেমের কাজ করছি
গেমটার নাম গ্রাভিটেট, নিচে গেমটাতে আমার কাজের কিছু স্ক্রিনশট দিলাম

এইটা গেমের মেইন মেনু স্ক্রিন:
এইটা গেমের পজ স্ক্রিন:

এইটা গেমের লোডিং স্ক্রিন:
এইটা গেমের স্যাম্পল স্ক্রিনশট:

এইগুলা গেমের অপশন স্ক্রিন:
এইটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ব্যানার:
এবার আসি অ্যানিমেটেড এলিমেন্টগুলোর পর্বে বলে রাখা ভালো অ্যানিমেটেড এলিমেন্টগুলোর প্রতিটার সিকোয়েন্স একটি ইমেজে রাখতে হয় যেটাকে গেমের স্প্রাইট শিট বলা হয়ে থাকে
এইটা সেরকমই একটা স্প্রাইট শিট:
এবার অ্যানিমেশনগুলো দেখা যাক এটা গেমের ফাইনাল গোল পয়েন্ট এটা ক্লায়েন্ট পছন্দ করেনি:
তাই আবার করতে হয়েছে এভাবে:

বোম্ব ব্লাস্ট অ্যানিমেশন:


প্রথমে এভাবে করে ক্লায়েন্টকে দেখিয়ে নিয়েছিলাম:


এবার আরো কিছু নন অ্যানিমেটেড এলিমেন্ট:









এই পোস্ট কারো মনে কোনো প্রশ্নের উদ্রেক করলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞেস করতে পারেন, আমার সীমিত জ্ঞানের মধ্যে থাকলে আমি উত্তর দিব

Monday, August 9, 2010

আমার সর্বশেষ খবর হচ্ছে আমি নতুন অফিসে জয়েন করেছি! কোম্পানির নাম ভি.জি.ও! এটা সেই কোম্পানির মাসকটের প্রাথমিক ড্রাফ্ট

আর এইটা কোম্পানির ওয়েবসাইট:

ফুল ভিউ:
http://i34.tinypic.com/5e97p0.jpg

Thursday, August 5, 2010

ক্যারিকেচার!




আমার প্রিয় একজন বন্ধু আবদুর রব জুয়েলের ক্যারিকেচার!
অপরিচিত কেউ তাকে প্রথম দর্শনেই ভাববে সে বছরের ১২ মাসই গুড়ো কৃমি আর কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে! বাস্তবে সে বেশ ভালোই বলশালী মর্দ জোয়ান! :)
সময় লেগেছে ১৫ মিনিট, থিয়োরি ক্লাসে বসে আঁকা!

Sunday, July 18, 2010

গোয়েন্দা গাউস ও সাগরেদ সগীর

বেশ ধরেই ভাবছিলাম একটা কার্টুন স্ট্রিপ কোনো একটা পত্রিকায় চালু করলে কেমন হয় এদিকে অ্যানিমেশন করার জন্য আমার দুই ৩ডি আর্টিস্ট বন্ধু রাজিব ও মেরাজের উস্কানিমূলক কথাবার্তাও আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো অনেকদিন ধরেই তো এর ফলস্বরূপ একসময় আমার বোধোদয় হলো নাহ্ ভেতো বাঙালী হয়ে আর নয়! তাই ছুটির দিনে চলে গেলাম শাহী ভাইয়ের বাসায়

আমার আর শাহরীয়ার ভাইয়ের গোয়েন্দা গাউস নামে একটা ক্যারেক্টার বেশ কয়েক জায়গায় ছাপা হয়েছিল কিন্তু আলসেমীর কারণে সেটা কন্টিনিউ করা হয়ে ওঠেনি! এবার ওই ক্যারেক্টারটাকেই ঘষে মেজে নতুন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিলাম সেই সাথে আরো কিছু নতুন ক্যারেক্টার যোগ করব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম
আমি একটা কুকুরের কথা ভাবছিলাম কিস্তু শাহী ভাই মানা করে বললেন ভোদড় দিলে কেমন হয়? শাহী ভাই যে শাহী ভাই তার প্রমাণ আরেকবার রাখলেন! ভোদড়ের মতো অদ্ভুৎ ক্যারেক্টারই গোয়েন্দা গাউস ও সাগরেদ সগীরের সাথে মানায় যদিও সেটার ড্রয়িং এখনও করা হয়নি অবশ্য ত্যাঁদড় টাইপের একটা সন্ত্রাসীরও ক্যারেক্টার ড্রয়িং বাকি আছে

আমার আর শাহী ভাইয়ের সেদিনের প্রাথমিক আঁকাঝোকার ফলাফল:



গোয়েন্দা গাউসের হ্যাট কীরকম হবে আর তার পোষা প্রাণী আঁকার একটা প্রাণান্তকর ব্যর্থ স্কেচের পাতা:


সাগরেদ সগীরের ফর্মের খোঁজে:

ফাইনালাইজ ক্যারেক্টার ১:
টাকমাথার কারণে সগীরকে বয়স্ক দেখালেও আসলে সে গাউসের থেকেও কম বয়স্ক গাউসের মানা সত্বেয় সগীর ফুটপাথের মস্তিষ্ক ঠাণ্ডাকরণ তেল মাথায় মাখায় আজ তার এই দশা!

ফাইনালাইজ ক্যারেক্টার ২:
গোয়েন্দা গাউসের মাথার হ্যাটে যে ফুটোটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তা কোনো বুলেট হোল নয়! ওটি ইঁদুরে কাটা। আর তার থুতনিতে যে আঘাত সেটি কোনো ষণ্ডার সাথে মারামারির চিহ্ন নয়! সকালে বাজার থেকে পচা মাছ আনায় তার স্ত্রীর অব্যর্থ নিশানায় লাগানো রুটি বেলার বেলুনের আঘাত!


Tuesday, July 13, 2010

বিড়াল ও ডায়নোসরের ডিম

পাঞ্জেরি প্রকাশনী থেকে এ বছরের বইমেলায় একটা শিশুতোষ বইয়ের কাজ পেয়েছিলাম আমি আর কার্টুনিস্ট কাম ডাক্তার শাহরীয়ার শরীফ (ডেইলি স্টারের শাহরীয়ার শরীফ নয়, উন্মাদের শাহরীয়ার শরীফ)। স্কেচ বাদে পুরোটাই করেছিলাম ফটোশপ সিএস৪ আর মাউস দিয়ে। সেই বইটার ব্যাক কভারের কাজটা আজকে ধাপে ধাপে দেখাব:

১. প্রথমেই কম্পোজিশন টা ঠিক করে নিলাম। অবশ্য বেশ কয়েকটা কম্পোজিশন করা হয়েছিল কিন্তু সেগুলো কোনোটাই পছন্দ না হওয়াতে দিলাম না।

২. এবার শাহী ভাই জেলপেন দিয়ে স্কেচটা করে ফেললেন


৩. ফটোশপে আমি সেটাকে স্ক্যান করে একটা নতুন ক্যানভাসে ফেলে স্কেচ লেয়ারের ওপাসিটি কমিয়ে দিলাম


৪. এবার ধাপে ধাপে মাউসের সাহায্যে রং চাপানোর পালা

৫. শ্যাডো বসাতেই দারুণ স্পেস তৈরি হয়ে গেল!



৫. শ্যাডো বসাতেই দারুণ স্পেস তৈরি হয়ে গেল!

৬. ডিমের গায়ে কিছু ক্র্যাক আঁকলাম




৭. এবার বিড়ালের গলায় স্টিলের কলার বেল্ট ও তাতে কিছু ডিটেইলিং



৮. পুরো কাজটা করার সময় আমি ব্রাশ সেটিংস নিজের পছন্দ মতো কাস্টোমাইজ করে নিয়েছিলাম।


৯. এবারে ফাইনাল টাচ্