Sunday, July 18, 2010

গোয়েন্দা গাউস ও সাগরেদ সগীর

বেশ ধরেই ভাবছিলাম একটা কার্টুন স্ট্রিপ কোনো একটা পত্রিকায় চালু করলে কেমন হয় এদিকে অ্যানিমেশন করার জন্য আমার দুই ৩ডি আর্টিস্ট বন্ধু রাজিব ও মেরাজের উস্কানিমূলক কথাবার্তাও আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো অনেকদিন ধরেই তো এর ফলস্বরূপ একসময় আমার বোধোদয় হলো নাহ্ ভেতো বাঙালী হয়ে আর নয়! তাই ছুটির দিনে চলে গেলাম শাহী ভাইয়ের বাসায়

আমার আর শাহরীয়ার ভাইয়ের গোয়েন্দা গাউস নামে একটা ক্যারেক্টার বেশ কয়েক জায়গায় ছাপা হয়েছিল কিন্তু আলসেমীর কারণে সেটা কন্টিনিউ করা হয়ে ওঠেনি! এবার ওই ক্যারেক্টারটাকেই ঘষে মেজে নতুন কিছু করার সিদ্ধান্ত নিলাম সেই সাথে আরো কিছু নতুন ক্যারেক্টার যোগ করব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম
আমি একটা কুকুরের কথা ভাবছিলাম কিস্তু শাহী ভাই মানা করে বললেন ভোদড় দিলে কেমন হয়? শাহী ভাই যে শাহী ভাই তার প্রমাণ আরেকবার রাখলেন! ভোদড়ের মতো অদ্ভুৎ ক্যারেক্টারই গোয়েন্দা গাউস ও সাগরেদ সগীরের সাথে মানায় যদিও সেটার ড্রয়িং এখনও করা হয়নি অবশ্য ত্যাঁদড় টাইপের একটা সন্ত্রাসীরও ক্যারেক্টার ড্রয়িং বাকি আছে

আমার আর শাহী ভাইয়ের সেদিনের প্রাথমিক আঁকাঝোকার ফলাফল:



গোয়েন্দা গাউসের হ্যাট কীরকম হবে আর তার পোষা প্রাণী আঁকার একটা প্রাণান্তকর ব্যর্থ স্কেচের পাতা:


সাগরেদ সগীরের ফর্মের খোঁজে:

ফাইনালাইজ ক্যারেক্টার ১:
টাকমাথার কারণে সগীরকে বয়স্ক দেখালেও আসলে সে গাউসের থেকেও কম বয়স্ক গাউসের মানা সত্বেয় সগীর ফুটপাথের মস্তিষ্ক ঠাণ্ডাকরণ তেল মাথায় মাখায় আজ তার এই দশা!

ফাইনালাইজ ক্যারেক্টার ২:
গোয়েন্দা গাউসের মাথার হ্যাটে যে ফুটোটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তা কোনো বুলেট হোল নয়! ওটি ইঁদুরে কাটা। আর তার থুতনিতে যে আঘাত সেটি কোনো ষণ্ডার সাথে মারামারির চিহ্ন নয়! সকালে বাজার থেকে পচা মাছ আনায় তার স্ত্রীর অব্যর্থ নিশানায় লাগানো রুটি বেলার বেলুনের আঘাত!


Tuesday, July 13, 2010

বিড়াল ও ডায়নোসরের ডিম

পাঞ্জেরি প্রকাশনী থেকে এ বছরের বইমেলায় একটা শিশুতোষ বইয়ের কাজ পেয়েছিলাম আমি আর কার্টুনিস্ট কাম ডাক্তার শাহরীয়ার শরীফ (ডেইলি স্টারের শাহরীয়ার শরীফ নয়, উন্মাদের শাহরীয়ার শরীফ)। স্কেচ বাদে পুরোটাই করেছিলাম ফটোশপ সিএস৪ আর মাউস দিয়ে। সেই বইটার ব্যাক কভারের কাজটা আজকে ধাপে ধাপে দেখাব:

১. প্রথমেই কম্পোজিশন টা ঠিক করে নিলাম। অবশ্য বেশ কয়েকটা কম্পোজিশন করা হয়েছিল কিন্তু সেগুলো কোনোটাই পছন্দ না হওয়াতে দিলাম না।

২. এবার শাহী ভাই জেলপেন দিয়ে স্কেচটা করে ফেললেন


৩. ফটোশপে আমি সেটাকে স্ক্যান করে একটা নতুন ক্যানভাসে ফেলে স্কেচ লেয়ারের ওপাসিটি কমিয়ে দিলাম


৪. এবার ধাপে ধাপে মাউসের সাহায্যে রং চাপানোর পালা

৫. শ্যাডো বসাতেই দারুণ স্পেস তৈরি হয়ে গেল!



৫. শ্যাডো বসাতেই দারুণ স্পেস তৈরি হয়ে গেল!

৬. ডিমের গায়ে কিছু ক্র্যাক আঁকলাম




৭. এবার বিড়ালের গলায় স্টিলের কলার বেল্ট ও তাতে কিছু ডিটেইলিং



৮. পুরো কাজটা করার সময় আমি ব্রাশ সেটিংস নিজের পছন্দ মতো কাস্টোমাইজ করে নিয়েছিলাম।


৯. এবারে ফাইনাল টাচ্






Tuesday, July 6, 2010

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কার্টুন

(ফুল সাইজে দেখার জন্য: https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjETzCCRh_KWNOVJaZjuvK4H7djQF-lMRfuYnAVH2vuHhS_ZWVwsu3ugcJ9EE9NEaKY-iU5WOQwXrvYXWufdur5Ixe4d9sNII8zMBuj9Wc5K7wTuljXpmDylFRbsxxtx30GKv7wY_Z0dKtt/)

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা মোটামুটি সবাই হতবিহ্বল (http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=130685&cid=2)! কয়েকজনকে আল বেরুনী হলের চারতলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়।
এ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, "যে কোন ঘটনা তো ঘটতেই পারে। এতে কি করার আছে। ক্যামেরা হাতে যদি কয়েকজন অসাংবাদিক মন্ত্রণালয়ে এসে কোনো অঘটন ঘটায়, সেক্ষেত্রে কি করার আছে। পুলিশ আসতে তো সময় লাগে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।" (http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=130718&cid=2)

ইশ! ক্ষমতার জন্য মানুষ কি না করতে পারে! এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বর্বর কার্যকলাপের প্রতিবাদ করার জন্য মনটা আকুপাকু করে ওঠায় এই কুইক কার্টুনের জন্ম। কোনো রকম রাফ ছাড়াই সরাসরি কলম ব্রাউন পেপারে আঁকা। এরপর সাইনপেন আর ফ্লুইডের সামান্য ঘষামাজা। সময় লেগেছে ৩০ মিনিট।

Sunday, July 4, 2010

মাথা খারাপ করা ২ টা সাইট!

আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এই ২টা সাইট গ্রাফিক আর্টিস্ট আর গ্রাফিক ডিজাইনারদের চমকে দিতে বাধ্য! খু্ব সম্ভবত অ্যাডোব ফ্লেক্স টেকনোলোজি ইউজ করে সাইট ২টা বানানো হয়েছে একটি ফটোশপের ঘরানার অন্যটি কোরেল পেইন্টার ঘরানার ওয়েব সাইট ২টির ঠিকানা:

http://www.sumopaint.com/app/

http://pixlr.com/editor/

Friday, July 2, 2010

ব্রড স্ট্রিট লাইন আইকন

ব্রড স্ট্রিট লাইন নামে একটা আন্ডারপাস ট্রেইন সার্ভিস আছে। তো ঐটার আইফোন আ্যাপ্লিকেশন বানানো হবে। যারা ডেভেলপ করবে তারা আমার পুরোনো ক্লায়েন্ট। তাই আইকন বানানোর দায়িত্বটা আমিই পেলাম। প্রথমে ইলাস্ট্রেটরে পাথ করে বানালাম তারপর ফটোশপে ঘষামাজা করে ফাইনাল করা হয়েছে! সব মিলিয়ে সময় লেগেছে ১৫ ঘন্টা (ফাকিবাজিসহ)।

১ম ধাপ:


২য় ধাপ: